ফরজ সালাতের পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিম্নোক্ত
দোয়া ও যিকর পড়তেন।
ফরজ সালাতের পর রাসুলুল্লাহ (সা :) কি দোয়া পড়তেন ?
আসতাগফিরুল্লা-হ । (৩ বার)
অর্থ : আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
করছি।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পড়তেন,
আল্লা-হুম্মা আনতাস সালা-মু ওয়া
মিনকাস সালা-ম, তাবা রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল
ইকরা-ম। ( ১ বার )
অর্থ : হে আল্লাহ, আপনার গুণবাচক নাম সালাম। আপনি শান্তিদাতা, আপনি কল্যনময়, আপনি মহিমা ও মর্য়াদার অধিকরী।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পড়তেন,
আয়াতুল কুরসি। ( ১ বার )
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা-হুয়াল
হাইয়্যুল কাইয়ুম, লা তা’খুযুুহু সিনাতু ওয়ালা নাউুম, লাহু মা-ফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ, মান যাল্লাযি ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বি-ইযনিহ, ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহীম ওয়ামা খলফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বি
শাই্যয়িন মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা’শাআ, ওয়াছিয়া কুরসি-ইয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া-হুয়াল আলিইয়্যুল আযীম।
অর্থ : আল্লাহ তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য
নেই। তিনি চিরন্জীব, সর্বশক্তিমান।
তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁরই জন্য আসমানসমূহ ও পৃথিবীর যাবতীয়
বস্ত । তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট কারও সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি তাদেও অগ্রভাগ ও
পশ্চাদভাগের সবকিছুই জানেন। তাঁর গানের কোনো কিছুই তিনি তাদেও কাছে প্রকাশ করেন
না। তবে যা তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে।
আর তাদেও রক্ষণাবেক্ষন তাঁকে কষ্ট দেয়না। তিনি সর্বোচ্চ মহান।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পড়তেন,
লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়া’হদাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা-কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির।
আল্লাহুম্মা লা-মা-নি’আ লিমা-আতাইতা, ওয়া লা-মু’তিয়া’লিমা, মানাতা, ওয়ালা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু। ( ১ বার )
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো হক
উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক
নেই। রাজত্ব তাঁর এবং যাবতীয় প্রশংসা কেবল তাঁর। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী।
হে আল্লাহ আপনি যা দান করেন তা ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। আর ক্ষমতাধারীর ক্ষমতা ও
প্রতিপত্তি আপনার নিকট কোনো কাজে আসবে না। প্রকৃত ক্ষমতা আপনার কাছ থেকেই।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পড়তেন,
আল্লাহুম্মা আ’ইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবা-দাতিক। ( ১
বার )
অর্থ : হে আল্লাহ, আমাকে আপনার যিক্ও করার এবং শুকরিয়া আদায় করার জন্য এবং
সুন্দরভাবে আপনার ইবাদতের জন্য সহায়তা করুন।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পড়তেন,
সুবহা-নাল্লা-হ ( ৩৩ বার )
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র।
আল’হামদুলিল্লা-হ ( ৩৩ বার )
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ
তায়ালার।
আল্লাহু আকবার ( ৩৪ বার )
অর্থ : আল্লাহ মহান।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পড়তেন,
লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা
শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। লা
হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লা না’বুদু ইল্লা-ইয়া-হ, লাহুন্ নি’মাতু ওয়া লাহুল ফাদ্বলু ওয়া লাহুস
সানা উল হাসান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন। ওয়া লাও কারিহাল
কা-ফিরুন।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো হক উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর এবয় যাবতীয় প্রশংসা কেবল তাঁর। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোনো শক্তি আল্লাহর মাধ্যম ব্যতীত। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক উপাস্য নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করি না। নিয়ামত তাঁরই, করুণা তাঁরই এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক উপাস্য নেই। আমরা কেবল তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে দীন মান্য করি, যদিও এতে কাফেররা অসন্তষ্ট।
মহান আল্লাহ তায়ালা সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক আমিন।